বিলের মাঝে পুকুর, ২০০ বিঘা আবাদি জমিতে জলাবদ্ধতা



স্টাফ করেসপন্ডেট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, রাজশাহী
বিলের মাঝে খনন করা এ পুকুরের কারণে প্রায় ২০০ বিঘা জমিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে/ ছবি: বার্তা২৪.কম

বিলের মাঝে খনন করা এ পুকুরের কারণে প্রায় ২০০ বিঘা জমিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে/ ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার দূর্গাদহ গ্রামের বাগমারা বিলে অবৈধভাবে খনন করা একটি পুকুরের পাড় যেন কৃষকের মরণ ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০০ বিঘা তিন ফসলি জমি অনাবাদি হয়ে পড়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ঐ এলাকার কৃষকরা। এই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা অবৈধভাবে খনন করা ঐ পুকুরের পাড় অপসারণে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, দুর্গাপুর উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের দূর্গাদহ গ্রামের বাগমারা বিলে প্রায় দেড় মাস আগে একই এলাকার হাফিজুর রহমান নামের এক ব্যক্তি প্রায় ১৫ বিঘা তিন ফসলি জমি দখল করে পুকুর খনন শুরু করেন।

এরপর একই এলাকার কৃষকরা মিলিত হয়ে তাদের ফসলি জমি রক্ষায় পুকুর খনন বন্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পাওয়ার পরই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিটন সরকার অভিযান চালিয়ে পুকুর খনন বন্ধ করে দেন।

এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতে অবৈধ পুকুর খননের দায়ে মালিক হাফিজুর রহমানের অর্থদণ্ড ও গাড়ির ব্যাটারি জব্দ করা হয়। এর ১৫ দিন পর পুকুর মালিক হাফিজুর স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর রশিদের সহযোগিতায় আবারো গোপনে রাতে ঐ পুকুরের চারদিকে পাড় বাঁধেন।

এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবারো অভিযান চালিয়ে স্থানীয় ইউপি আব্দুর রশিদকে পুকুর খনন বন্ধ ও পুকুরের পাড় অপসারণের নিদের্শ দেন। এর দেড় মাস অতিবাহিত হলেও এখনো পর্যন্ত পুকুর পাড় অপসারণ করা হয়নি।

অভিযোগকারী কৃষক আহসান, দুলাল মণ্ডল ও মুনছুর সরকার জানান, আমন মৌসুম চললেও কৃষকরা এখনো পর্যন্ত ধান রোপন করতে পারেননি। অল্প বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। ঐ পুকর পাড় অপসারণ না হলে তাদের কৃষি জমি বলে আর কিছু থাকবে না। প্রায় ২০০ বিঘা ফসলি জমি বর্ষায় পানির নিচে তলিয়ে যাবে। দ্রুত পুকুর পাড় অপসারণে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর রশিদ জানান, ‘ইউএনও স্যার আমাকে ঐ পুকুর পাড় কেটে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন। পরে তিনটি গাড়ি দিয়ে ঐ পুকুর পাড় কাটা শুরু করলে হাফিজুর তাতে বাধা প্রয়োগ করেন। এ সময় তিনি আমাদের ভয়ভীতি দেখান। এরপর বিষয়টি ইউএনও স্যারকে জানালে স্যার ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠান। তারপরে নানা হট্টগোল সৃষ্টি হলে আর পাড় অপসারণ সম্ভব হয়নি।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিটন সরকার বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘দূর্গাদহ বাগমারার বিলে পরপর দুই বার অভিযান চালিয়ে হাফিজুর রহমানের পুকুর খনন বন্ধ করা হয়। প্রয়োজনে আবারো সেখানে অভিযান চালানো হবে।’

   

আ.লীগের অর্জনকে নস্যাৎ করার অপশক্তিরা এখনো সক্রিয়: দীপু মনি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সমাজকল্যান মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আমাদের যত অর্জন, বাংলাদেশের যত অর্জন সবকিছু এসেছে আওয়ামী লীগের মাধ্যমে। আর সেই অর্জনকে নস্যাৎ করে দেবার জন্য যে অপশক্তি, তারা বঙ্গবন্ধুর সময় যেমন ছিল আজকেও তারা সক্রিয় আছে।

রবিবার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে '১/১১ এ কারাবন্দী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা -মুক্তির দাবিতে ২৫ লক্ষ গণস্বাক্ষর জমা' শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

ডা. দীপু মনি বলেন, আমাদেরকে আমাদের ঐক্য, সংকল্পের দৃঢ়তা, দলীয় আনুগত্য যদি সুধরে রাখতে না পারি তাহলে কিন্তু সেই অপশক্তি আবারও ছোবল দিবে। তাই দেশের বৃহত্তর রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের দ্বায়িত্ব ওই অপশক্তি যেনো কখনো ছোবল মারতে না পারে সেটা লক্ষ রাখতে হবে। সেই দ্বায়িত্ব পালনে যেনো আমরা কখনো পিছ পা না হই। আমি মনি করি সেটিই আমাদের অঙ্গীকার হওয়া উচিত।

দলের সকল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্ববান জানিয়ে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, নেত্রীর জন্য জানও দিয়ে দিবেন বলবেন কিন্তু নেত্রী নেতৃত্বে দলের যে সিদ্ধান্ত সেটা মানবেন না; তখন নিজেরা নিজের মতো চলবেন এটাতো আসলে হওয়া উচিত না। আমরা কথায় কথায় বলি নেত্রীর জন্য জান দিয়ে দিবো। কিন্তু কেউ জান দিয়ে দিক এটা নেত্রী চান না। নেত্রী যে সিদ্ধান্ত দেয়, সে সিদ্ধান্ত মানি কিনা? সেটা কেন্দ্রে হোক, তৃণমূলে হোক, যেখানেই হোক। আমাদের সবার যদি এরকম হয় যে, বিচার মানি তালগাছ আমার তাহলে কিন্তু হবে না। তাহলে কিন্তু নেত্রীর প্রতি ভালোবাসা হলো না।

তিনি বলেন, আওয়ামী একটি গণতান্ত্রিক দল, এর সিদ্ধান্ত গ্রহনের প্রক্রিয়াও গণতান্ত্রিক। নেত্রী কারও ওপর কিছু চাপিয়ে দিচ্ছে না। প্রত্যেকের সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনার মধ্য দিয়ে একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। মূল সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে আমাদের মত থাকতে পারে। কিন্তু যখন সিদ্ধান্ত হয়ে যায়, তখন সেটা দলীয় সিদ্ধান্ত। হয় আমি সেই সিদ্ধান্ত মানি না হয় আমি দল করবো না। সেই স্বাধীনতা আপনার আছে। কিন্তু আপনি দলও করবেন, নেত্রীর জন্য জানও দিয়ে দিবেন বলবেন কিন্তু নেত্রী নেতৃত্বে দলের যে সিদ্ধান্ত সেটা মানবেন না; তখন নিজেরা নিজের মতো চলবেন এটাতো আসলে হওয়া উচিত না।

সমাজকল্যান মন্ত্রী আরও বলেন, ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ১১ জুন ২০০৮ সালে জনতার চাপে আওয়ামী লীগকে ভাঙতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়ে সেনা সমর্থিত তত্তাবধায়ক সরকার বাধ্য হয়েছিল শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে। মাত্র ১৫ দিনে ২৫ লক্ষ স্বাক্ষর সেই সময় সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছিল। আরেকটি ভূমিকা রেখেছিল আমাদের বর্ধিত সভা। যেখানে সারা দেশ থেকে নেতৃবৃন্দ এসে সারা দেশকে জানিয়ে দিলো 'নো শেখ হাসিনা, নো ইলেকশন'।

সাপ্তাহিক গণ বাংলার প্রধান উপদেষ্টা এম এ করিমের সভাপতিত্বে ও সাবেক ছাত্র নেতা চন্দন কুমার ঘোষের পরিচালনায় এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য এডভোকেট বলরাম পোদ্দারসহ অন্যান্য নেতারা।

;

বাস ধর্মঘটে রাঙামাটিতে চরম দুর্ভোগে যাত্রী সাধারণ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাঙামাটি
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রাঙামাটিতে বাস ধর্মঘটের কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রী সাধারণ। কাপ্তাই-চট্টগ্রাম সড়কে আগুন দিয়ে বাস পোড়ানোর প্রতিবাদে রোববার থেকে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটের কারণে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।

বৃহত্তর চট্টগ্রাম বাস মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকে রোববার (২৮ এপ্রিল) থেকে রাঙামাটিতে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দেন বাস মালিক শ্রমিকরা। এ কারণে রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল থেকে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম, রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি-বান্দরবানসহ অভ্যন্তরীণ রুটগুলোতে যাত্রীবাহী বাস ছেড়ে যায়নি।

সকাল থেকে রাঙামাটির সব রুটের বাস কাউন্টারগুলো বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও সকালে বিআরটিসির বাস চট্টগ্রাম থেকে রাঙামাটিতে এলেও রাঙামাটি থেকে বিআরটিসির কোনো বাস ছেড়ে যাচ্ছে না।

এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বান্দরবান, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়িগামী যাত্রী ও বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা যাত্রী সাধারণ।

জীবন-জীবিকার তাগিদে আটকেপড়া যাত্রীরা বাধ্য হয়ে দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে রাঙামাটি থেকে রানীরহাট ও চট্টগ্রাম পর্যন্ত চলাচল করছেন।

;

চট্টগ্রামের বায়েজিদে বস্তিতে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ২ ইউনিট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের বায়েজিদে বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট কাজ করছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

বিস্তারিত আসছে...

;

২২ মাসে টোল আদায়ে দেড় হাজার কোটির মাইলফলকে পদ্মা সেতু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
২২ মাসে টোল আদায়ে দেড় হাজার কোটির মাইলফলকে পদ্মা সেতু

২২ মাসে টোল আদায়ে দেড় হাজার কোটির মাইলফলকে পদ্মা সেতু

  • Font increase
  • Font Decrease

দেড় হাজার কোটি টাকার বেশি টোল আদায়ের মাইলফলক অতিক্রম করেছে পদ্মা সেতু। এই অর্থ অর্জিত হয়েছে সেতু চালু হওয়ার ২২ মাসের মধ্যেই।

সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, দেশের বৃহত্তম ওই সেতু চালু হওয়ার পর থেকে শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাত ১১ টা ৫৯ পর্যন্ত এক হাজার ৫০২ কোটি ৬২ লাখ ১৫ হাজার ৯০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেন পদ্মা সেতু সাইট অফিসের অতিরিক্ত পরিচালক আমিরুল হায়দার চৌধুরী।

তিনি বলেন, পদ্মা সেতু চালুর পর থেকে গত ২২ মাসে ১ হাজার ৫০২ কোটি ৬২ লাখ ১৫ হাজার ৯০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে। এ সময়ে সেতু দিয়ে মোট ১ কোটি ১২ লাখ ৯১ হাজার ৯৫টি যান চলাচল করেছে। এর মধ্যে মাওয়া দিয়ে ৫৬ লাখ ১ হাজার ২৩২ এবং জাজিরা প্রান্ত দিয়ে ৫৬ লাখ ৮৯ হাজার ৮৬৩টি যানবাহন পদ্মা সেতু পার হয়েছে।

সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের ৯ এপ্রিল ঈদুল ফিতরের ছুটিতে পদ্মা সেতুতে একদিনে সর্বোচ্চ ৪ কোটি ৮৯ লাখ ৯৪ হাজার ৭০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে। ওই দিন দুই প্রান্ত দিয়ে ৪৫ হাজার ২০৪টি গাড়ি পারাপার হয়।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পরদিন থেকেই যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় সেতুটি। ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে।

;